কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ফজর আলী (৩৫) নামের এক বাক প্রতিবন্ধি যুবককে আটকে রেখে রশি দিয়ে হাত-পা বেধে রাতভর নির্যাতন করে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী ) রাতে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে এ ঘটলে পরদিন শুক্রবার তার ছোট ভাই বাছির আলী বাদী হয়ে সুফিয়ান মিয়া, আল আমিন মিয়া, সিপন মিয়া ও খিজির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বাক প্রতিবন্ধি ফজর একই এলাকার রিমাই মিয়ার ছেলে।
এদিকে থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (১১ ফেব্রæয়ারি) সকালে অভিযুক্ত সুফিয়ান মিয়া ও আল আমিনকে পুলিশ আটক করেছে। এসিডে ঝলসে যাওয়া গুরুত্বর আহত বাক প্রতিবন্ধি ফজর বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
থানায় করা অভিযোগসুত্রে জানা যায়, বাক প্রতিবন্ধি ফজর আলী প্রায় এক বছর যাবত সুফিয়ান মিয়ার বাড়ীতে কাজ করছেন। কিন্তু প্রতিবন্ধি থাকায় সুফিয়ান মিয়া তাকে কোন পারিশ্রমিক না দিয়েই কাজ করাচ্ছিলেন। কিছুদিন পূর্বে সুফিয়ানের কাছে ফজর তার পারিশ্রমিকের টাকা চাইলে টাকা দিব-দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রæয়ারি) রাতে আবারও বাক প্রতিবন্ধি ফজর তার পারিশ্রমিকের টাকা চাইতে গেলে সুফিয়ানগংরা ফজরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে একপর্যায়ে তাকে আটকে রেখে রশি দিয়ে হাত-পা বেধে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরে সুফিয়ানগংরা প্রতিবন্ধী ফজরের মাথায়, মুখে, চোখে, কানে, কাধে ও পিঠে এসিড নিক্ষেপ করে মুমূর্ষু অবস্থায় একই এলাকার খিজির মিয়ার বাড়ীর পাশের রাস্তায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয়রা প্রতিবন্ধী ফজরকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশংখাজনক দেখে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধি ফজর আলীর ভাই মোঃ বাছির আলী বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘বাক প্রতিবন্ধি যুবককে এসিড নিক্ষেপ করে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply